লালমনিরহাটে সবজি দাম বেড়েছে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: লালমনিরহাটে শীতের শুরুতেই বাড়তে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজি শাক-সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। এ জেলার পাঁচ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে নতুন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, শিমের মতো কিছু শীতের সবজির দাম আকাশচুম্বী। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ।

লালমনিরহাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৭৫-৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায়। কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও তা বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, প্রতি পিস চাল কুমড়া ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, করলা ৬৫-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউের দাম (আকার ভেদে) ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০-১৭০ টাকা, কাঁচ কলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা, দুধকুষি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, বাক্স কচু প্রতি পিস ৮০-৯০ টাকা, কচুরলতি আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৬৫-৭০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ৮০-১০০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটির দাম বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ টাকা।

হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া বলেন, পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ থেকে ক্যারেজ আলু ও লাল আলু নিয়ে আসি। সেই মোকামে দিন দিন দাম বাড়ার কারণে বাজারে এখন খুচরা আলুর দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর এক সপ্তাহ আগে আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। মোকামে যদি দাম না কমে তাহলে আমরা কিভাবে কমাতে পারবো।

হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের সবজি চাষি আব্দুল বাকী বলেন, ১৫ দিন আগে টানা বৃষ্টির কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপি মুলা ও বেগুন ক্ষেত, লাল শাক, পালং শাকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে বাজারগুলোতে শাক-সবজির দাম দিন দিন বাড়ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার দিঘিরহাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাহিন মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করেছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আজ সেই আলু ৫৯ থেকে ৬০ টাকা। নতুন ফুলকপি বাজারে এসেছে তার প্রতি কেজি ১০০ টাকা। পাইকারি দাম বাড়ায় প্রতি কেজিতে চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কালিগঞ্জ উপজেলার সুকানদিঘী বাজারের আব্দুল লতিফ বলেন, সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহে মুলা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে। এখন মুলা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।

পাটগ্রাম উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সেবিন খন্দকার বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের আবারও বীজ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।